Blog Template

আত্মবিশ্বাস- ই সফলতার মূলমন্ত্র

একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর গণ্ডি পেরিয়েই তোমরা এক বিশাল যুদ্ধের সম্মুখীন হবে। সেই যুদ্ধটি হল ভার্সিটি এডমিশন যুদ্ধ। পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য একটি আসনের পেছনে যুদ্ধ করে অনেক শিক্ষার্থী। কিন্ত কেন ? ভালো ইউনিভার্সিটিতে একটি ভালো সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ তোমার ক্যারিয়ার ও চিন্তা ভাবনা অনেকটাই বদলে দিবে।

 একটি ইট কখনো দূর থেকে চোখে পড়েনা, একটি একটি করে জোড়া লাগিয়ে বিল্ডিং বানালেই কেবল দূর থেকে সবার চোখে পড়ে মানুষের সফলতা হল একটি বিল্ডিং যা আস্তে আস্তে বানানোর পরই চোখে পড়ে । একাদশ দ্বাদশ শ্রেনীর দুই বছর কতটা তুমি ইফোর্ট দিয়ে পড়াশোনা করেছো তার উপর নির্ভর করবে তোমার এডমিশন যুদ্ধে জয়ী হওয়া না হওয়া। টোটাল ২০০ মার্কসের মান বন্টন। তার মধ্যে ১০০ মার্কস তোমার SSCHSC জিপিএ থেকে কাউন্ট করা হবে। ৪০% তোমার SSC ও ৬০% HSC রেজাল্ট থেকে নেয়া হবে।

আর বাকি ১০০ মার্কসের পরীক্ষা হবে তোমার HSC সিলেবাস থেকে। তাই সময় নষ্ট না করে তোমার প্রতিটি দিন কাজে লাগাও। আরাম আয়েশ আর অর্জন কখনোই এক পথে চলে না। অলসতা কখনো সফলতার বন্ধু হতে পারে না। সফলতার চারা গাছ দেখতে হলে অবশ্যই তোমাকে চেষ্টার বীজ বুনতে হবে। মনে রেখো ট্যালেন্ট বা যোগ্যতা দিয়ে বিচার করা হয় না, বিচার করা হয় অর্জন দিয়ে। কারন অর্জনই গর্জন। মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে তোমাকে অর্জনের প্রসেসে ঢুকতে হবে। সাকসেস হতে হলে চেষ্টা না করে মোবাইল নামক ঢিলামির বাক্সে বন্দী থাকা যাবে না। জীবনে সাকসেস হওয়ার কোনো লিফট নেই, দুনিয়াতে কেউ শর্টকাটে সফল হতে পারে না। নিজের উপর জোর করে হলেও প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন কমপ্লিট করতে হবে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর ২ বছরের ক্যালেন্ডারের পাতা শেষ হয়ে গেলে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এই দুই বছর বেশি উপভোগ করতে গিয়ে বেশি অনুশোচনায় ভুগতে যেনো না হয় সেই দিকটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।

আজ না কাল পড়তে বসবো, আমার তো ভালো করে পড়া উচিৎ এই একই চিন্তা সবার মনেই আসে, পাথর্ক্য শুধু ঝাপিয়ে পড়ার মাঝে। বেশির ভাগ মানুষ সফল হতে পারে না কারন তারা যাত্রাই শুরু করে না। তাই তোমাদের বলি, দেরি না করে পড়তে বসো, প্রতিটা মূহুর্ত কাজে লাগাও।

সময় নষ্টকারী  অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হবে, সময় নষ্ট করার অপশন যত বাড়বে প্রোকাস্টিনেশনও তত বড়বে। হাতের মোবাইলটি ৩ ঘন্টা দূরে রেখে পড়তে বসলে কোনো ক্ষতি হবে না। কয়েক ঘন্টা তোমার হাতে মোবাইল না থাকলে দুনিয়া পাল্টে যাবে না। পড়াশোনার চেয়ে তোমার  মোবাইল জরুরি না। মনে রেখ মোবাইল এখন আমাদের অজান্তেই এক মহা আসক্তিতে পরিনত হয়েছে। মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই তুমি তোমার লক্ষ্যের পেছনে ক্লান্তিহীনভাবে লেগে থাকতে পারবে।

তোমরা কি জানো গুগলের বর্তমান CEO কে ??

তিনি হলেন- সুন্দর পিচাই

তিনি ভারতের তামিলনাড়ুর এক মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন। দুই রুমের একটি এপার্টমেন্টে ছোট ভাই সহ চার জনের পরিবার বাস করত। একটি ল্যাপটপ এমনকি একটি মোবাইল কেনার সামর্থ  ছিলনা।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবৃত্তিতে সুযোগ পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে যাবার জন্য প্লেনের টিকিট কেনার সামর্থ্যও পরিবারের ছিল না।  পরিবারের সঞ্চিত অর্থ আর এক বছরের মোট আয়ের চেয়েও বেশি পরিমান অর্থ লোন নিয়ে সেই ব্যবস্থা করেন তার বাবা-মা।

তার বর্তমান বেতন ভারতীয় মুদ্রায় ১৮৮৪ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৯০০ টাকা। কঠোর পরিশ্রম করলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।

যার প্রয়োজনের আকাঙ্খা যত বেশি তার আলসেমি আর এক্সকিউজ ততই কম।নদীর স্রোত কাউকে পাহাড়ের চূড়ায় উঠায় না বরং সাগরে নিয়ে ভাসায়। সাকসেস হতে হলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে। আনন্দ আর ইফোর্টের মধ্যে ব্যালেন্স রেখে পড়াশোনা করতে হবে।

মনে রেখো; মেধাবীরা হেরে যেতে পারে কিন্তু পরিশ্রমীরা কখনোই হারে না। সঠিক পথে পরিশ্রম করো, সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।

Blog-Template-5

“কিভাবে বাড়াবো যোগাযোগ-দক্ষতা”

চাকরিদাতা, সফল উদ্যোক্তা পেশা পরামর্শকদের কথায় ইদানীং বারবার ঘুরেফিরে আসে ‘কমিউনিকেশন স্কিল’ বা ‘যোগাযোগ–দক্ষতা’র কথা। যে পেশাই আমরা বেছে নেন না কেন, এ বিষয়ে দক্ষ আমাদের হতেই হবে। তাই এ জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো আমাদের ছাত্রজীবন। কিভাবে আমরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও দক্ষ হয়ে উঠতে পারি, সে ধারাবাহিক কিছু কথা।

বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখুনঃ- কেউ ভালো লেখেন, কেউ ভালো বলেন, কেউ ভালো শ্রোতা, কেউবা দারুণভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে জানেন (প্রেজেন্টেশন দেন)। যোগাযোগ–দক্ষতা বিকাশের জন্য সব রকমের যোগাযোগেই নিজেকে সাবলীল ও দক্ষ করে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজিতে সাবলীলভাবে বলা ও লেখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কোনো কিছু বুঝে পড়া এবং মন দিয়ে শোনাও খুব জরুরি। আপনি যা বলছেন, তা আরেকজন বুঝতে পারছে কি না, কিংবা আপনি অন্যের কথা বুঝতে পারছেন কি না—দুটিই যোগাযোগ–দক্ষতার ওপর নির্ভর করে।

অনেক পড়তে হবেঃ- আমরা খুব সরলভাবে বলে পারি, যাঁরা অনেক পড়েন, তাঁরা অনেক বিষয় সম্পর্কে খোঁজ রাখেন। কাগুজে বই-সাময়িকী-সংবাদপত্র হোক, কিংবা ইন্টারনেটে ই-পত্রিকা, ই-সাময়িকী বা পেশা- বিজ্ঞান – ব্যবসাবিষয়ক কোনো পোর্টালই হোক না কেন, নিয়মিত চোখ রাখলে সাম্প্রতিক সব বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। “যোগাযোগ–দক্ষতা বিকাশের জন্য যখনই কোনো লেখা পড়ছেন, মাথায় ‘ফাইভ ডব্লিউ-এইচ’ নামের সূত্রটি গেঁথে নিতে হবে। ফাইভ ডব্লিউ-এইচ হলো হু, হোয়াট, হোয়্যার, হোয়েন, হোয়াই ও হাউ”। লেখাটি লেখক কেন লিখেছেন, কার জন্য লিখেছেন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে লিখেছেন, কী কী বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, কোন কোন বিষয় যুক্ত করা যেতে পারে, আপনি লিখলে কীভাবে লিখতেন—এসব মাথায় দ্রুত এঁকে ফেলতে হবে। যত বেশি পড়বেন, যত জানবেন, কথা বলার সময় আপনি তত আত্মবিশ্বাস পাবেন। জানার ঘাটতি থাকলে বুঝিয়ে বলা ও শুনে বোঝা—দুটি কাজই কঠিন হয়ে যায়।

অনুসরণ করতে হবেঃ যোগাযোগ–দক্ষতা বিকাশের জন্য বক্তৃতা (পাবলিক স্পিকিং) বা নিজের ভাবনা উপস্থাপন করার (প্রেজেন্টেশন) কৌশল জানতে হবে। আপনি নিজেকে দক্ষ করে তুলতে চাইলে যেকোনো বিখ্যাত ব্যক্তির কৌশলগুলো সহজে অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবে পৃথিবীখ্যাত ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন স্পিকারের বক্তব্য দেওয়ার কৌশল নিয়ে অনেক ভিডিও দেখতে পাবেন। এ ছাড়া পড়তে পারেন ক্রিস অ্যান্ডারসনের লেখা টেড টক: দ্য অফিশিয়াল টেড গাইড টু পাবলিক স্পিকিং। এছাড়াও আমাদের দেশে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান এবিষয়ে বিভিন্ন ধরনের কোর্স চালু করেছে। তাই চাইলে সেখানে আপনি আপনার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কোর্স গুলো করতে পারেন। তবে অবশ্যই কোর্স করার পূর্বে কোর্স প্রদান কারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোকরে খোঁজ নিবেন। এটি বাংলা প্রবাদ প্রচলিত আছে, “চকচক করলেই সোনা হয় না”

লেখা: মহিউদ্দিন সুমন

প্রভাষক, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, ঢাকা

Blog-Template-2

Importance of ‘Co-curricular Activities’ to build up Self-confidence

In the 21st century, the world is changing fast. That is why, the conventional education

 curriculum which was developed in the early 20th century, has to pave the way to a new kind of 

education and learning which is related to our day to day living and plays a vital role to build up

 career and personality. Co-curricular activities are different from academic activities. It is true

 that much of our intellectual development happens, to a great extent, in the classroom but it is

 not enough to survive in life.  Students can participate in co-curricular activities besides their

 academic activities. These activities give unique experience of life, these activities make one

 smart and wise. These activities encourage to expose hidden talents. It helps to the students to 

become aware of time management and more responsible. It helps the learners to be confident, 

problem solving and reasoning. When these activities blended with academics, it will help the

students learn  effectively. It will also give them an opportunity of thinking unusually and getting

 the innovative ideas and above all to be self-dependent.

There are many co-curricular activities like- debate, recitation, singing songs, dancing, public 

speaking, extempore speech, library work, social service etc. These are the activities through

 which a learner can strengthen the classroom learning as well as other activities both inside and 

outside the classroom.

The students who engage themselves in these co-curricular activities, can achieve better results 

in their academic ground. Their academic performance develop day by day as they learn how to

 balance their co-curricular activities with their academic pursuits. Moreover, they better 

understand how to manage their time effectively and also increase their interest in the classroom.

 So, it is essential to understand the importance of co-curricular activities in improving academic 

performance. In other words, co-curricular activities enable a learner to digest his academic

 studies and make him/her to be confident in every sphere of practical life. In this competitive

 era, co-curricular activities also play a vital role to build up a better career for the learners. 

Because it broadens new horizons for them. It makes the students feel happier, stronger, 

confident and more likely to lead a healthy and active life style.

Now we are passing a very critical situation. In a normal situation, Pre Covid-19, all 

extracurricular activities for the students took place in academic environment. Though it is not 

possible in this current pandemic situation, students can involve themselves virtually in many

 co-curricular activities. And it helps them to be fit mentally removing their mental stress. In this 

connection, Virtual club activities can be implemented during the pandemic. Through Google 

meet or Zoom, students can participate in interactive session where they can share their 

experience and receive suggestion from the experts. Now at this moment, they can more involve 

in many indoor activities like crafts, creative writings, gardening, graphic designs etc. 

By the above discussion, we can say that the students engaging through co-curricular activities 

can learn essential values about different religions, events, cultures of national and international

 importance as well as discipline. They also learn to understand different values, social ethics, 

motivational skills, capability of  accepting  challenges, self-dependent, self-contentment etc.

 In order to make the new generation all-rounder and self-reliant, co-curricular activities should

 be integrated in the educational sector compulsorily.

Writer: Sanchita Nargees

Sr.Lecturer, English

Daffodil International College, Dhaka

Your-paragraph-text-6

মহিষ কি কালো না ব্ল্যাক ডায়মন্ড!

মহিষ একটি অতি পরিচিত প্রাণী। সবাই কমবেশি তাকে চিনে, চেহারায় না চিনলেও কথায় কথায় সবাই মহিষের নাম বলে যেমন- কারও চেহারা কালো হলেই সবাি তাকে বলে তুই মহিষের মতো। যার ইংরেজি নাম- Bull বৈজ্ঞানিক নাম – Bos taurus এই প্রাণীটি পানিতে নামলে উঠতে চায় না, এবং আনন্দে মেতে ওঠে। দেখতে কালো হলেও আসলে এর গুন অনেক- 

১. মহিষের দুধ অনেক উপকারী, মহিষের দুধে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যা হাড়ের 

    বিকাশের জন্য অধিক দরকারী এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝঁকি কমায়।

২. ক্যালসিয়াম হাড়ের বিল্ডিং ব্লক হিসাবে পরিচিত, নিয়মিত মাহিষের দুধ পান করলে এর থেকে 

    রেহাই পাওয়া যায়।

৩. মহিষের দুধে তামা, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস এবং জিঙ্কের মতো অন্যান্য খনিজ পদার্থও থাকে যা 

    হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।

৪. মহিষের দুধে ঘুমকে প্ররোচিত করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই আপনি যদি রাতে ভালো ঘুম চান 

    এবং যাদের রাতে ঘুম আসে না, তার মহিষের দুধ খেলে এ অবস্থা থেকে রেহাই পাবেন।

৫. গরুর দুধের তুলনায় মহিষের দুধে প্রোটিন, চর্বি এবং ল্যাকটোজ বেশি থাকে। 

৬.  যাদের ওজন বেশি অর্থাৎ যাদের  স্থুলতা রয়েছে তাদের জন্য মহিষের দুধ খুবই উপকারী, কারন 

     এতে ফ্যাটির চেয়ে বেশি ক্যালোরি রয়েছে।

৭. মহিষের দুধে পাওয়া যায় মহামূল্যবান ভিটামিন-D যা সচরাচর খুব একট খাবারে পাওয়া 

    যায় না। সাধারণত সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন-D প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। ভিটামিন-D হাড়, 

    নার্ভ, মাংসপেশিকে সচল রাখে।

মহিষের মাংসের উপকারিতা:

এটি লাল মাংস বা রেডমিট নামে পরিচিত।

১. গরুর মাংসের চেয়ে ১০% কোলেস্টোরলের পরিমান কম থাকে, তবে আমিষের পরিমান, 

   আয়রনের পরিমান, বি১২ বেশি থাকে, শিশুদের বৃদ্ধিতে এবং মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।

২. ৭০% কোলেস্টরল কম, চর্বি কম, এলার্জি থাকে না, আয়রন বেশি থাকে যা মানুষের দেহে রক্ত 

    তৈরি ও রক্ত স্বল্পতা দূর করে, লো-প্রেসার দূর করে।

৩. এতে আয়রনের পরিমান বেশি থাকায় এটি গর্ভবতি মায়েদের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।

৪. মহিষের মাংস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কারণ এতে চর্বির পরিমান মাত্র ২ শতাংশ।

৫. যারা বাতব্যাথার ভয়ে গুরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, তারা নির্ভয়ে এটি খেতে পারেন।

জাতিসংঘের খাদ্য  ও কৃষি সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিভাগসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, গুণগত মানের দিক থেকে গরুর মাংসের চেয়ে মহিষের মাংস অত্যন্ত স্ব্যাস্থ্য সম্মত।

পবিত্র কুরআনের সূরা ইয়াসিন আয়াত ৭২ ও ৭৩ নং আয়াতে, আল্লাহতাআলা বলেছেন, আমি চতুষ্পদী কতকগুলো প্রাণীকে মানুষের বশীভূত করে দিয়েছি, সেগুলো তারা বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে, মহিষ চতুষ্পদী প্রাণী, এটি দ্বারা আমরা গাড়িটানি এবং এর মাংস ও দুধ ভক্ষণ করি, এটি আমাদের জন্য পরিপূর্ণ হালাল একটি প্রাণী- সূরা আল নাহল।

যারা দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে মাংস বাদ দিয়ে দিয়েছেন তারা নির্দ্বিধায় মহিষের মাংস যোগ করতে পারেন। 

আসলে প্রাণী জগতের প্রাণীদের মধ্যে মহিষ একটি  ব্ল্যাক ডায়মন্ড। 

লেখা: মিস নিলুফা ইয়াসমিন

সিনিয়র প্রভাষক, জীববিজ্ঞান

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, ঢাকা

Blog (2)

Visiting Military Museum: An Outstanding Study Tour with DIC students

Visiting Military Museum: An Outstanding Study Tour with DIC students

Study tour, a break from routine classroom settings, injects enthusiasm and excitement
into the learning process. In fact, study tours can inspire students, reignite their passion for their
field of study, and motivate them to explore further. In order to fulfil this purpose, Daffodil
International College arranged a study tour at Bangabandhu Military Museum for its students’
holistic development.
On 27 May 2023, the students of class XI (session: 2022-23) along with their teachers
started for Bangabandhu Military Museum at 9.30 am. The museum is located at Bijoy Sarani,
Dhaka. It has a collection of Bangladesh’s military history, heritage, success stories and various
weapons and ammunition.
As the destination is not very far from college campus, we have decided to go on foot.
While crossing Manik Mia Avenue, the juvenile students had some snaps in front of the
Parliamentary Building. They were, really, excited and thrilled while marching towards the
destination. We reached the museum at 10.30 am and found that some of my fellow students had
already arrived at their most cherished destination.
After finishing the counting of the students, they entered the museum in a queue
maintaining discipline and rules of the institution. While exploring the museum, they observed
our heritage, success stories of our ancestors, wide implementation of Augmented Reality,
Interactive Displays, Virtual Reality, Holograms etc.

The museum is divided into six sections, including the Bangladesh History Gallery on the
ground floor, Bangladesh Army Gallery on the 2nd floor, Bangladesh Air Force gallery on the
3rd floor, UN Peacekeeping Gallery on the 4th floor, and Bangladesh Navy Gallery at the
basement.

There is also a separate museum named “Toshakhana Jadughor” within the museum
complex, where gifts and awards received by the country’s important personnel have been
showcased. A grand sculpture of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman has been placed in the
middle of the “Toshakhana Jadughor”.

Our students got amazed looking at the awesome architectural design and infrastructure
inside the museum. The study tour came to an end almost at 1.00 pm. At the end of the tour, they
experienced a heavy rainfall poured down the city which made the day more memorable for
them. Due to excessive rainfall, we had to wait some more time at the museum. This study tour
and the rainfall made the students refreshed by removing the monotony of academics.
Overall, it was an unforgettable outing of the teachers and the students which will remain
forever in the memory and keep us invigorated again and again.
Finally, I would like to say that this kind of study tour offers unique opportunities for
students to learn, grow, and develop both academically and personally. Moreover, it provides
practical experiences through gaining knowledge and foster various skills that are essential to
achieve success in the academic and professional spheres.

‘সমাস’ একটি দ্বিমুখী শব্দ (Palindrome word)। অর্থাৎ বাম থেকে ডানে বা ডান থেকে বামে− যেদিকেই যাই− ‘সমাস’ শব্দটি অপরিবর্তিত থাকে। তদ্রূপ, দরদ, জমজ, নতুন, বাহবা। 
ব্যাকরণমতে, সম্ + অস্ + অ (ঘঞ্) = সমাস। এর অর্থ ‘সংক্ষেপণ’।

সমাসবদ্ধ শব্দ ও বানান

‘সমাস’ একটি দ্বিমুখী শব্দ (Palindrome word)। অর্থাৎ বাম থেকে ডানে বা ডান থেকে বামে− যেদিকেই যাই− ‘সমাস’ শব্দটি অপরিবর্তিত থাকে। তদ্রূপ, দরদ, জমজ, নতুন, বাহবা।

ব্যাকরণমতে, সম্ + অস্ + অ (ঘঞ্) = সমাস। এর অর্থ ‘সংক্ষেপণ’। অর্থাৎ বাক্যস্থ অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একীভূত বা সংক্ষিপ্ত রূপই সমাস। এটি মূলত সংস্কৃত ভাষার নিয়ম, যা বাংলা ভাষায়ও প্রচলিত আছে।

কয়েকটি উদাহরণ দিই :

মহান যে রাজা, তিনি তীর্থে যাবেন।

মহারাজ তীর্থে যাবেন।

অথবা,

আমার হাতে পরার ঘড়িটি দামি।

আমার হাতঘড়িটি দামি।

অথবা,

তিন বাহু (ভুজ) দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্র অঙ্কন করো।

ত্রিভুজ অঙ্কন করো।

পূর্বোক্ত তিনটি বাক্যই সমাসের উদাহরণ। এখানে অর্থ ঠিক রেখে বাক্যস্থ পদসমূহকে একীভূত বা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এখানে ‘মহারাজ’ সাধারণ কর্মধারয়, ‘হাতঘড়ি’ মধ্যপদলোপী কর্মধারয় ও ‘ত্রিভুজ’ দ্বিগু/কর্মধারয় সমাস।

আরও উদাহরণ−

এগুলো গাছে পাকা আম।

এগুলো গাছপাকা আম।

অথবা,

লোকটি জন্ম থেকে অন্ধ ।

লোকটি জন্মান্ধ।

অথবা,

মেয়েটি এক অধিক দশ শ্রেণিতে পড়ছে।

মেয়েটি একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে।

এখানে লক্ষনীয় যে, সমাসবদ্ধ পদ বাক্যকে সরল, শ্রুতিমধুর ও সংক্ষিপ্ত করেছে। ভাষাদক্ষতা অর্জনে এর প্রয়োজন ও গুরুত্ব অনস্বীকার্য। 

প্রশ্ন উঠতে পারে, সমাস (compound word) আর বাক্য সংকোচন (sentence contraction)-এর মধ্যে সাদৃশ্য বা পার্থক্য  কী? আমাদের ধারণা, দুটোই বাক্য সংক্ষেপণ। তবে এদের গঠনপদ্ধতি আলাদা। সমাসের ব্যাসবাক্যে পূর্বপদ ও পরপদ থাকে এবং সমাসের প্রকারভেদ থাকে, যা বাক্য সংকোচনে থাকে না।

নিচের তালিকাটি লক্ষ করা যাক :

সমাসবাক্য সংকোচন
চতুঃ (চার) অঙ্গের সমষ্টি = চতুরঙ্গ দুঃ (কঠিন) যে পাচ্য = দুষ্পাচ্য পূর্বে ভূত = ভূতপূর্ব ন (নয়) অতি  দীর্ঘ = নাতিদীর্ঘ  অশ্ব, রথ, হস্তী  ও পদাতিক সৈন্যের সমষ্টি – চতুরঙ্গ যা সহজে পরিপাক হয় না – দুষ্পাচ্য যা  পূর্বে ছিল, এখন নেই − ভূতপূর্ব যা খুব  দীর্ঘ নয় −  নাতিদীর্ঘ

এখানে ‘চতুরঙ্গ’ দ্বিগু, ‘দুষ্পাচ্য’ কর্মধারয়, ‘ভূতপূর্ব’ ৭মী তৎপুরুষ ও ‘নাতিদীর্ঘ’ নঞর্থক তৎপুরুষ সমাস।    

উল্লেখ্য, সমাস হচ্ছে অর্থের মিলন আর সন্ধি হচ্ছে পার্শ্বস্থ  বা সংলগ্ন দুটি ধ্বনি/বর্ণের মিলন। সমাস ও সন্ধির গঠনপদ্ধতিও আলাদা। যথা−

সমাসসন্ধি
জায়া ও পতি = দম্পতিজায়া> দম্ + পতি = দম্পতি
কটু যে উক্তি = কটূক্তিকটু  + উক্তি = কটূক্তি
স্বর্ণের মতো উজ্জ্বল অক্ষর = স্বর্ণাক্ষর স্বর্ণ + অক্ষর =  স্বর্ণাক্ষর
পুষ্প দ্বারা অঞ্জলি = পুষ্পাঞ্জলিপুষ্প + অঞ্জলি = পুষ্পাঞ্জলি
অহ্নের অপরভাগ = অপরাহ্ণ অপর + অহ্ন = অপরাহ্ণ  

এখানে ‘দম্পতি’ দ্বন্দ্ব, ‘কটূক্তি’ সাধারণ কর্মধারয়, ‘স্বর্ণাক্ষর’ মধ্যপদলোপী কর্মধারয়, ‘পুষ্পাঞ্জলি’ ৩য়া তৎপুরুষ ও ‘অপরাহ্ণ’ ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।

সংস্কৃত ব্যাকরণমতে, সমাস প্রধানত ৬ প্রকার। যথা : দ্বন্দ্ব, দ্বিগু, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, অব্যয়ীভাব ও  বহুব্রীহি।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, দ্বিগু ও কর্মধারয় একই শ্রেণিভুক্ত। অর্থাৎ এগুলোতে পূর্বপদে বিশেষণ ও পরপদের অর্থপ্রধান্য থাকে। তা ছাড়া ‘অব্যয়ীভাব’ উপসর্গের নিয়মে সিদ্ধ। সেহেতু বাংলা ব্যাকরণমতে, সমাস প্রধানত ৪ প্রকার। যথা− দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ ও বহুব্রীহি। 

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, সমাসবদ্ধ পদগঠনের মূল ভিত্তি হচ্ছে দুটি পদ− পূর্বপদ ও পরপদ। কোন পদের অর্থ প্রধান− পূর্বপদ না পরপদ− সেটিই  সমাস নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য বিষয়।

পদের অর্থপ্রাধান্য অনুযায়ী সমাসের শ্রেণিবিন্যাস নিম্নরূপ :

সমাসপূর্বপদপরপদঅন্যপদ
দ্বন্দ্বÖÖ 
দ্বিগু Ö 
কর্মধারয় Ö 
তৎপুরুষ Ö 
অব্যয়ীভাবÖ  
বহুব্রীহি  Ö

উল্লেখ্য, একই পদের বিভিন্ন প্রকার সমাস হতে পারে। আরও উল্লেখ্য, ব্যাসবাক্য অনুযায়ী সমাসের নাম নির্ধারিত হয়। এ ক্ষেত্রে  ব্যাসবাক্যটি শুদ্ধ বা যথার্থ হওয়া বাঞ্ছনীয়। যথা−

ব্যাসবাক্য = সমস্তপদসমাসের নাম
মুখ পদ্মের ন্যায় = মুখপদ্ম মুখ রূপ পদ্ম = মুখপদ্মউপমিত কর্মধারয় রূপক কর্মধারয়
মোমের বাতি = মোমবাতি মোম নির্মিত বাতি = মোমবাতি৬ষ্ঠী  তৎপুরুষ মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
তেল দ্বারা ভাজা = তেলেভাজা তেলে ভাজা = তেলেভাজা৩য়া তৎপুরুষ অলুক তৎপুরুষ
ঢেঁকি দ্বারা ছাঁটা = ঢেঁকিছাঁটা ঢেঁকিতে ছাঁটা = ঢেঁকিছাঁটা৩য়া তৎপুরুষ ৭মী তৎপুরুষ
ন (নেই) ওয়ারিশ = বেওয়ারিশ ওয়ারিশ নেই যার = বেওয়ারিশনঞর্থক তৎপুরুষ নঞর্থক বহুব্রীহি

উল্লেখ্য, দুধ ও ভাত = দুধভাত (দ্বন্দ্ব) শুদ্ধ নয়। দুধ মিশ্রিত ভাত = দুধভাত (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়) শুদ্ধ। তদ্রূপ, দুধসাগু। আরও উল্লেখ্য, রাজার পুত্র = রাজপুত্র (৬ষ্ঠী তৎপুরুষ) শুদ্ধ। কিন্তু রাজার হংস = রাজহংস (৬ষ্ঠী তৎপুরুষ) শুদ্ধ নয়। হংসের রাজা = রাজহংস (৬ষ্ঠী তৎপুরষ) শুদ্ধ। তদ্রূপ, রাজপথ। এখানে প্রথম ‘রাজা’ (King) এবং দ্বিতীয় ‘রাজা’ শ্রেষ্ঠ/বড় অর্থ বোঝাচ্ছে।

কয়েকটি বিশেষ নিয়ম :

১. সমস্তপদ পুরুষবাচক থাকলেও ব্যাসবাক্যে স্ত্রীবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়। যথা :

    কুকুরীর ছানা = কুকুরছানা, ছাগীর দুগ্ধ  = ছাগদুগ্ধ, হংসীর ডিম্ব = হংসডিম্ব । তদ্রূপ− সুন্দরীবৃক্ষের  বন =

    সুন্দরবন। এগুলো তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ। আরও উদাহরণ – মহতী যে কীর্তি = মহাকীর্তি (সাধারণ কর্মধারয়),

    পঞ্চ নদীর সমষ্টি = পঞ্চনদ (দ্বিগু/কর্মধারয়)।

২. সমস্তপদে ‘ক’/কা’/‘কদ’ থাকলেও ব্যাসবাক্যে ‘কু’ ব্যবহৃত হয়। যথা :

    কু যে অর্থ = কদর্থ, কু যে পুরুষ = কাপুরুষ, কু যে আকার = কদাকার।

৩. পঙ্কে জন্মে যা = পঙ্কজ (পদ্ম), জলে জন্মে যা = জলজ  (− উদ্ভিদ)। কিন্তু ফল দান কারে যা– ‘ফলদ’। অর্থাৎ    

    ‘ফলজ’ নয়− ‘ফলদ’ বৃক্ষ শুদ্ধ।

প্রত্যয়যুক্ত শব্দ ও বানান

প্রত্যয়যুক্ত শব্দ ও বানান

উপসর্গ ও প্রত্যয় বাংলা শব্দগঠনের দুটি পদ্ধতি।

ব্যাকরণমতে, ধাতু ও শব্দের পূর্বে উপসর্গ এবং পরে প্রত্যয় যুক্ত হয়। যথা: স (উপসর্গ) + মূল = সমূল, মূল + সহ (প্রত্যয়) = মূলসহ। সাধারণত একই শব্দে যুগপৎ উপসর্গ ও প্রত্যয় যুক্ত হয় না। সেহেতু ‘সমূলসহ’ অশুদ্ধ। তদ্রূপ, আ + কাঙ্ক্ষা = ‘আকাঙ্ক্ষা’ এবং কাঙ্ক্ষা + -ইত = ‘কাঙ্ক্ষিত’ শুদ্ধ । কিন্তু ‘আকাঙ্ক্ষিত’ অশুদ্ধ। আ + শঙ্কা = ‘আশঙ্কা’ এবং শঙ্কা + -ইত = ‘শঙ্কিত’ শুদ্ধ । কিন্তু ‘আশঙ্কিত’ অশুদ্ধ। আবার ধাতু ও শব্দে যুগপৎ দুটি প্রত্যয় যুক্ত হয় না। সেহেতু দরিদ্র + -য (ষ্ণ্য) = ‘দারিদ্র্য’ এবং দরিদ্র + -তা = ‘দরিদ্রতা’ শুদ্ধ। কিন্তু ‘দারিদ্র্যতা’ অশুদ্ধ। তদ্রূপ, ‘দৈন্য’/‘দীনতা’ শুদ্ধ। কিন্তু ‘দৈন্যতা’ অশুদ্ধ। ‘সাফল্য‘/‘সফলতা’ শুদ্ধ। কিন্তু ‘সাফল্যতা’ অশুদ্ধ।  

আরও উদাহরণ−

ভুল বানানশুদ্ধরূপ *
উৎকর্ষতা
ঔজ্জ্বল্যতা
কার্পণ্যতা
চাঞ্চল্যতা
বাহুল্যতা 
বৈচিত্র্যতা
বৈশিষ্ট্যতা
বৈষম্যতা
যাথার্থ্যতা
সখ্যতা
স্বাতন্ত্র্যতা
সাদৃশ্যতা
সামঞ্জস্যতা
সারল্যতা
সৌজন্যতা
উৎকৃষ্ট + য (ষ্ণ্য) = উৎকর্ষ
উজ্জ্বল + য = ঔজ্জ্বল্য
কৃপণ + য  = কার্পণ্য
চঞ্চল + য = চাঞ্চল্য
বহুল + য = বাহুল্য
বিচত্র + য = বৈচিত্র্য
বিশিষ্ট + য = বৈশিষ্ট্য
বিষম + য = বৈষম্য
যথার্থ + য = যাথার্থ্য
সখা + য = সখ্য
স্বতন্ত্র + য += স্বাতন্ত্র্য
সদৃশ + য = সাদৃশ্য
সমঞ্জস + য = সামঞ্জস্য
সরল + য = সারল্য
সুজন + য = সৌজন্য

*এখানে শুধু য (ষ্ণ্য)-যুক্ত বানানগুলো নির্দেশিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘কৃচ্ছ্রতা’ নয়, ‘কৃচ্ছ্র’ (-সাধন) শুদ্ধ। ‘বদান্যতা’ নয়, বদ্ + আন্য = ‘বদান্য’ শুদ্ধ।  আরও উল্লেখ্য, পাগল + আ + টিয়া = পাগলাটিয়া > ‘পাগলাটে’ শুদ্ধ, প্রমাণ + য + তা = ‘প্রামাণ্যতা’ শুদ্ধ। নৌ + য + তা = ‘নাব্যতা’  শুদ্ধ। হৃদ + য + তা = ‘হৃদ্যতা’ শুদ্ধ। এখানে দুটি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে শব্দ গঠিত হয়েছে। তবে এমন উদাহরণ বিরল।  

আধুনিক বানানবিধিমতে, রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব (Double use) হয় না। যথা : অর্চ্চনা > অর্চনা, মূর্চ্ছনা > মূর্ছনা, মার্জ্জনা > মার্জনা, অপূর্ব্ব > অপূর্ব, সর্ব্বোচ্চ > সর্বোচ্চ, কর্ত্তব্য > কর্তব্য, গৃহকর্ত্তা > গৃহকর্তা, ভাবমূর্ত্তি > ভাবমূর্তি, দুর্দ্দিন > দুর্দিন, মর্ম্মবস্তু >মর্মবস্তু।   

আরও উদাহরণ−

ভুল বানানশুদ্ধরূপ
আচার্য্য
আশ্চর্য্য
আহার্য্য
ঐশ্বর্য্য
ঔদার্য্যতা 
কার্য্য
গাম্ভীর্য্যতা
চাতুর্য্যতা
চৌর্য্য
ধৈর্য্য
ধার্য্য
পরিহার্য্য
প্রাচুর্য্যতা
ব্যবহার্য্য
বিচার্য্য
স্বীকার্য্য
স্থৈর্য্য
সূর্য্য
শৌর্য্য
সৌন্দর্য্য
মাধুর্য্য
আ + √চর্ + য (ষ্ণ্য)= আচার্য 
আ + চর্য্য = আশ্চর্য
আহার + য = আহার্য
ঈশ্বর + য = ঐশ্বর্য
উদার + য = ঔদার্য
√কৃ + য  = কার্য
গম্ভীর + য = গাম্ভীর্য
চতুর + য = চাতুর্য
চোর + য = চৌর্য
ধীর + য = ধৈর্য
√ধৃ + য = ধার্য
পরিহার + য = পরিহার্য
প্রচুর + য = প্রাচুর্য
ব্যবহার + য = ব্যবহার্য
বিচার + য = বিচার্য
স্বীকার + য = স্বীকার্য
স্থির + য = স্থৈর্য
√সৃ + য = সূর্য
শূর + য = শৌর্য
সুন্দর + য = সৌন্দর্য
মধুর + য = মাধুর্য

উল্লেখ্য, সমর্থ + য = ‘সামর্থ্য’ শুদ্ধ। তদ্রূপ, দীর্ঘ + য = ‘দৈর্ঘ্য’, মূর্ধন্ + য =‘মূর্ধন্য’ শুদ্ধ। আরও উল্লেখ্য, শ্রদ্ধা + অর্ঘ্য = ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ শুদ্ধ।

প্রত্যয়ের আরও কয়েকটি নিয়ম:

০১. -ত্ব (তৃচ্)

শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে এবং পরে ত্ব (প্রত্যয়) যুক্ত হলে ঈ > ই হয়। যথা:

একাকী + -ত্ব = একাকিত্ব, কৃতী + -ত্ব = কৃতিত্ব, দায়ী + -ত্ব = দায়িত্ব, স্থায়ী + -ত্ব = স্থায়ীত্ব, মন্ত্রী + -ত্ব = মন্ত্রিত্ব, স্বামী + -ত্ব = স্বামিত্ব।

কিন্তু স্ত্রীবাচক শব্দে ঈ-কার অক্ষুণ্ণ থাকে। যথা:

কুমারীত্ব, নারীত্ব, ছাত্রীত্ব।

উল্লেখ্য, ‘মহত্ব’ নয়− মহৎ + -ত্ব = ‘মহত্ত্ব’ শুদ্ধ। তদ্রূপ, ‘তত্ব’ নয়− তৎ + -ত্ব = ‘তত্ত্ব’ শুদ্ধ। আরও উল্লেখ্য, ‘আত্ব’/‘আত্বক’ নয়− ‘আত্ম’/‘আত্মক’ শুদ্ধ। যথা: আত্মজ্ঞান, আত্মগোপন, একাত্ম, আক্রমণাত্মক, ধনাত্মক, ঋণাত্মক, ভ্রমাত্মক, ধ্বংসাত্মক, মারাত্মক, সর্বাত্মক।

০২. -তা (তৃচ্)

শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে এবং পরে তা (প্রত্যয়) যুক্ত হলে ঈ > ই হয়। যথা:

অপরিণামদর্শী + -তা = অপরিণামদর্শিতা, ঊর্ধ্বগামী + -তা = ঊর্ধ্বগামিতা, কার্যকারী + তা = কার্যকারিতা, দ্বিচারী + -তা =দ্বিচারিতা, দূ্রদর্শী + তা = দূ্রদর্শিতা, নিম্নগামী + -তা = নিম্নগামিতা, অন্তর্মুখী + -তা = অন্তর্মুখিতা, বহির্মুখী + -তা = বহির্মুখিতা, কর্মমুখী + -তা = কর্মমুখিতা, প্রতিদ্বন্দ্বী + -তা = প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিবন্ধী + -তা = প্রতিবন্ধিতা, বহুমুখী + -তা = বহুমুখিতা, বাগ্মী + -তা = বাগ্মিতা, স্ববিরোধী + -তা = স্ববিরোধিতা, রাষ্ট্রদ্রোহী + -তা = রাষ্ট্রদ্রোহিতা, সত্যবাদী + -তা = সত্যবাদিতা, স্বেচ্ছাচারী + -তা = স্বেচ্ছাচারিতা।

কিন্তু √গ্রহ্ + তৃ (তৃচ্) = গ্রহীতা শুদ্ধ।  

০৩. -আলি

ক. সাদৃশ্য বোঝাতে

      সোনা + -আলি = সোনালি (− যুগ)। তদ্রূপ, রুপালি (− জ্যোৎস্না), পাটালি (− গুড়)।

খ. ভাব বোঝাতে

     মেয়ে + -আলি = মেয়েলি। তদ্রূপ, চতুরালি, মিতালি।

গ. জাত বা উৎপন্ন বোঝাতে

     (চৈত্র>) চৈত + আলি = চৈতালি (− রাত)। তদ্রূপ, পৌষালি (− সন্ধ্যা ), পূর্ব > পুব + আলি = পুবালি।

ঘ. অনুরূপ বোঝাতে

     গোড় + -আলি = গোাড়ালি। তদ্রূপ, সুতা + আলি = সুতালি > সুতলি।

ঙ. বৃত্তি বা কর্ম বোঝাতে

     গৃহস্থ + -আলি = গৃহস্থালি । তদ্রূপ, ঘটকালি, ঠাকুরালি, নাগরালি, রাখালি।

০৪. -আবলি

বহুবচন বোঝাতে

কার্য + আবলি = কার্যাবলি । তদ্রূপ, কবিতাবলি (চতুর্দশপদী −), গুণাবলি, ঘটনাবলি, তথ্যাবলি, দীপাবলি > দীপালি (− উৎসব), দৃশ্যাবলি, নামাবলি, নির্দেশাবলি, নিয়মাবলি, পত্রাবলি, প্রশ্নাবলি, বৈশিষ্ট্যাবলি, রচনাবলি, শর্তাবলি, সূত্রাবলি ।

মমিনুল হক

সহকারী অধ্যাপক, বাংলা

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ

Alia madam blog 2

Learn English with Easy Solution

                                  Part-01:

 Conditional Sentences in English 

            If you are an English learner of Higher Secondary level, you must have come across the term ‘If Conditionals’. However, this is an aspect of English Grammar. While studying different types of ‘conditionals’, you may feel a little confused,

complicated, difficult and tedious also. But if you learn some basic rules regarding the conditional sentences, you will be able to use these sentences in your daily conversation easily and smoothly.

  In English, ‘conditional’ sentences indicate certain structures of the sentences that establish what will happen if a certain incident takes place. This means that if a certain action is done, a certain result occurs.

Basically, four types of conditional sentences are used in English language.

01. 1st Conditional Sentences:

This type of sentence refers to the future events that might happen in course of action.

[If + Present Indefinite + Future Indefinite]

Structure: If + sub1 + V1 + object1 + (,) + sub2 + will + V1 + object2

Example:

  • If you get up early, you will keep fit.
  • If it rains, we will postpone the tour.
  • If I get the scholarship, I will apply for PhD.
  • If they want, I will assist them.
  • If she studies more, she will be able to fulfill her parents’ dream.

02. 2nd Conditional Sentences:

This conditional sentence is used to describe the unreal possibility. It shows the course of action that would/ could happen in the past.

[If + Past Indefinite + Past Conditional (Sub + would/could +V1 + object)]

                                    Structure: If + sub1 + V1+ object1 + (,) + sub2 + would/ could + V1 + object2  

   Example:

  • If they wanted, we would help them.  
  • If I got the scholarship, I would apply for higher studies.
  • If I were a millionaire, I would travel the whole world.
  • If you won the lottery, you could stop working.
  • If she studied more, she could achieve a desired result.

03. 3rd Conditional Sentences:

This conditional sentence discusses the past. These conditions are impossible also. Because they have occurred but won’t anymore.

            [If + Past Perfect tense + perfect conditional (Sub+ would have/could have + V3 + object)]

            Structure: If + sub1 + had + V3 + object1 + (,) + sub2 + would have/could have + V3 + object2

Example:

  • If they had wanted, we would have helped them.
  • If I had studied more, I would have obtained a better result.
  • If I had been a millionaire, I would have traveled the whole world.
  • If you had won the lottery, you could have stopped working.
  • I could have informed him the matter, if I had known it.

04. Zero Conditional Sentences:

Zero conditional deals with the facts. It refers to absolute certainty and does not refer to the future or the past.

[If + Present Indefinite + Present Indefinite]

Structure: If + sub1 + V1 + object1 + (,) + sub2 + V2 + object2

Example:

  • If you cry a lot, you get headache.
  • If you cool water to zero degrees, it turns into ice.
  • If you touch fire, you get burned.
  • If it snows, the ground gets icy.
  • If we make too much noise, the baby wakes up.                                           

N. B.

V1: Base form/ Present form of Verb

V2: Past form of Verb

V3: Past Participle form of Verb

Alia Rawshan Banu

Senior Lecturer (English)

Daffodil International College

WhatsApp Image 2022-09-04 at 9.30.16 AM

ব্যবস্থাপনার নীতি

আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হেনরি ফেয়ল (Henry Fayol) ১৯১৬ সালে ফ্রান্সে তাঁর যুগান্তকারী গ্রন্থ জেনারেল অ্যান্ড ইনডাসট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট (General and Industrial Management) এ ১৪টি ব্যবস্থাপনা নীতি প্রদান করেছেন; এই নীতিগুলোই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি হিসেবে মানা হয়।

হেনরি ফেয়লের ব্যবস্থাপনার ১৪ টি নীতি:

১. কার্যবিভাগ (Division of work)

 প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্যকে সুষ্ঠুভাবে নির্দিষ্ট করার নীতিকেই কার্য বিভাজন নীতি বলে।

২. কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব (Authority and Responsibility)

 কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব পরস্পর ঘনিষ্ঠতার সাথে সম্পর্কিত। কোনো কর্মীকে কার্য সম্পাদন করার জন্য কর্তৃত্ব অর্পন করার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব ও প্রদান করতে হবে। আবার এরূপ কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য থাকা উচিত অন্যথায় কার্যক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়।

৩. আদেশের ঐক্য (Unity of Command)

আদেশের  ঐক্য নীতির মূল কথা হলো প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্মী শুধু একজন বসের (Boss) অধীনে থাকবে এবং তার আদেশ গ্রহণ করবে। কারণ একাধিক বসের অধীনে একজন কর্মী সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে না। এক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা এবং সমস্যাই দেখা দেয়।

৪. নির্দেশনার ঐক্য (Unity of Direction)

উদ্দেশ্যে অর্জনের জন্য পূর্ব নির্দেশনার সাথে মিল রেখে পরবর্তী নির্দেশনা প্রদানের কাজকে ব্যবস্থাপনায় নির্দেশনার ঐক্য নীতি বলে।

৫. কেন্দ্রীকরণ      বিকেন্দ্রীকরণ(Centralization and Decentralization)

উওরঃ প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিচের পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হলে তাকে বিকেন্দ্রীকরণ বলে।

৬. সাম্য (Equity) 

সকল শ্রমিক ও কর্মীর প্রতি সমান এবং সম্মানজনক আচরণ করা উচিত। একজন ব্যবস্থাপক বা প্রশাসকের দায়িত্ব হলো প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কেউ যেন  বৈষম্যের সম্মুখীন না হয়। 

৭. নিয়মানুবর্তিতা (Dicipline)

প্রতিষ্ঠানের জন্য উত্তম নিয়ম নীতি নির্ধারণ এবং তা মেনে চলার নীতিকেই ব্যবস্থাপনায় নিয়মানুবর্তিতার নীতি বলে। এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতনগণ যদি নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন তবে প্রতিষ্ঠানে নিয়মানুবর্তিতার নীতি অনুসরণ সহজ হয়।

৮. শৃঙ্খলা (Principal of Order)

যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে এবং সঠিক বস্তুকে সঠিক স্থানে স্থাপনের নীতিকে ব্যবস্থাপনায় শৃঙখলার নীতি বলে ।

৯. সাধারণ স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ (Subordination of individual to general interest)   

ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে প্রাতিষ্ঠানিক বা সাধারণ স্বার্থকে অগ্রাধিকার প্রদান এর নীতিকে ব্যবস্থাপনায় সাধারণ স্বার্থে নিজস্ব স্বার্থ ত্যাগের নীতি বলে ।

১০. চাকরির স্থায়িত্ব (Stability of tenure)   

এই নীতি অনুযায়ী মনে করা হয় যে, কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা বিধান করা হলে তা কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগ্রহ ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। চাকরির স্থায়ী কে কর্মীরা  গৌরবের বিষয় মনে করে।

১১. উদ্যোগ (Initiative)

নতুন নতুন পদ্ধতি বা উপায় উদ্ভাবন ও আবিস্কার করার পক্ষে কর্মীদেরকে উৎসাহ প্রদান করা হেনরি ফেয়লের গুরুত্বপূর্ণ একটি নীতি। এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য যথোপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মীদের আগ্রহ বাড়ে এবং উন্নত কর্মনৈপুণ্য প্রদর্শন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়। 

১২. জোড়া-মই-শিকল (Scalar Chain)

প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত কর্তৃত্ব প্রবাহের একটি শিকল বা চেইন থাকবে। এই শিকল কর্তৃত্বের প্রবাহ ও যোগাযোগের উর্ধ্বগতি বা নিম্নগতি নির্দেশ করে। জরুরি কাজে সংগঠনের নীচু স্তরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা থাকবে। 

 

১৩. পারিশ্রমিক (Remuneration)

ন্যায্য বেতন এবং মজুরি নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মীদের প্রাপ্য। তাই বেতন ও মজুরির একটি উপযুক্ত কাঠামোর প্রবর্তন করে শ্রমিক-কর্মীদেরকে সর্বাধিক সন্তুষ্টি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। হেনরি ফেয়লের মতে, পারিশ্রমিক ন্যায্য হতে হবে এবং তা প্রদান করার যুক্তিসংগত বা সঠিক পন্থা থাকতে হবে। 

১৪. একতাই বল (Esprit de corps/Unity Is Strength) 

যেখানে একতা সেখানেই শক্তি। ব্যবস্থাপনার অন্যতম প্রধান নীতি হলো একে অপরকে  অনুপ্রাণিত করা এবং নিয়মিতভাবে একে অপরের সহায়ক হওয়া। একটি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়ার বিকাশ একটি ইতিবাচক ও প্রত্যাশিত কর্মপরিবেশ ও ফলাফলের দিকে পরিচালিত করবে। ব্যবস্থাপকের উচিৎ তার অধীনস্থ কর্মচারীদের দলগত প্রচেষ্টা, একতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং এভাবেই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব।

ব্যবস্থাপনা নীতিমালা হচ্ছে ব্যবস্থাপকীয় কার্যাবলী সুষ্ঠুভবে সম্পাদনের নির্দেশিকা স্বরূপ। 

জারকা সুলতানা

ভাইস প্রিন্সিপাল এন্ড সহকারী অধ্যাপক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ

Nelufa madam blog

কলা ও এর পুষ্টিগুন

কলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ফল। কলা এমন একটি ফল যা সারাবছর পাওয়া যায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কলা পাওয়া যায়— যেমন, শবরি কলা, চম্পা কলা, সাগর কলা ইত্যাদি। এগুলো আমরা সবাই  চিনি তবে আমাদের বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের  উদ্ভাবিত কিছু জাত আছে— যেমন— অগ্নিশ্বর, কানাইবাসী, মোহনবাসী, জামাইষষ্টী অনেকেই চিনি না। কলা খুবই সুস্বাদু সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর ফল। কলা দিয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার বানানো যায়। বনের সব চেয়ে বড় প্রাণী অর্থাৎ বড়বাবু হাতির প্রিয় খাবার কলা মানে কলাগাছ। ফল হিসেবে কলার অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। প্রচলিত একটি কথা আছে, কেউ যদি দিনে একটি কলা খায়; তাহলে তার বাড়িতে ডাক্তারের দরকার হয় না। তাহলে চলুন আমরা এই কলার পুষ্টিগুণ জেনে নেই।

কলা আপেলের চেয়ে দামি বাজারে আপেলের দাম বেশি কলার দাম কম, কিন্তু কলার পুষ্টিগুন আপেলের দ্বিগুন যেমনÑ আপেলে যে পরিমান প্রোটিন আছে তার চেয়ে চার গুন বেশি প্রোটিন কলায় আছে। এছাড়াও কলার Ñ কাবোর্হাইড্রেই আছে। দ্বিগুন ফসফরাস আছে তিনগুন ভিটামিন ‘এ’ও আয়রন আছে। পাঁচগুন, এতে ফ্যাট নেই বললেই চলে এজন্য কলা আপেলের চেয়ে দামি।

* শক্তি জোগাতে কলা-

কলার সুক্রোজ, ফ্রুরেষ্টিজ ও গ্লুকোজ তিন ধরনের প্রাকৃতিক সুগার আছে এবং প্রচুর পরিমানে আঁশ পাওয়া যায়। খাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই শক্তি পাওয়া যায়।

* হতাশগ্রস্ত মানুষের জন্য কলার ম্যাজিক – অধিকাংশ মানুষই হতাশায় ভোগেন, তাদের জন্য সুখবর হলো, এ হতাশ দুর করার জন্য কলার জুড়ি নাই, কলায় আছে ট্রিপটোফ্যান নামক প্রোটিন, যা ম্যাজিকের মতো হতাশা দূর করে। রক্তশূন্যতা থেকে পরিত্রান— আমাদের বিশেষ করে মেয়েদের হিমোগ্লোবিনের পরিমান অনেকেরই কম থাকে  অনেক সময় রক্তশূন্যতা তা দেখা দেয়, যাকে অ্যানিমিয় বলে, এটি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা আয়রন ট্যাবলেট খাই, যদি প্রতিদিন একটি করে কলা খাই তাহলে এ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।

* বুক জ্বালাপোড়ায়— অনেক সময় হঠাৎ বুক জ্বালাপোড়া শুরু হয়, বুক থেকে শুরু হলেও এক সময় ঘাড়, গলা চোয়ালের কোনে কোনে ছাড়িয়ে পড়ে রোগটির নাম হার্টবার্ন, হার্টবার্ন হলে আমরা অ্যান্টিসিড জাতীয় ঔষধ সেবন করি। যদি আমরা ঔষধ না খেয়ে কলা খাই তাহলেই রক্ষা পাই কারন কলা অ্যান্টিসিড ইজেক্ট তৈরি করে।

* আঘাত থেকে সুরক্ষা মানুষ কোন কারনে আঘাত প্রাপ্ত হলে শরীরের বিপাকীয় হার বেড়ে যায় ফলে শরীরের পটাশিয়াম লেভেলটা ও কমতে থাকে। কলায় প্রচুর পটাশিয়াম আছে যা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাজতে ও পটাশিয়ামের লেভেল ঠিক রাখতে সাহয্য করে।

আসলে ফল আল্লাহর নিয়ামত প্রত্যেকটা ফলের মধ্যেই আল্লাহ তাআলা পুষ্টিগুন দিয়েছেন যা তার সৃষ্টির সেরা জীব অর্থাৎ আশরাফুল মাখলুকাতের জন্য রোগ নিরাময়ের মহাঔষধ।

নিলুফা ইয়াসমিন

সিনিয়র প্রভাষক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ