ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে প্রতিবছরই মাত্রাতিরিক্ত বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। তবে সেই অনুপাতে বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে। ধরিত্রী মা-কে সুরক্ষিত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করানোর লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজে আয়োজন করা হয় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির।
Parents’ Meeting 2024
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ ছাত্রছাত্রীদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যত গড়তে সবসময় অভিভাবকদের অভিমত প্রকাশ ও সহযোগিতায় গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তারই প্রেক্ষাপটে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের ২০২৩-২৪ ব্যাচের সকল গ্রুপের (বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ইংরেজি ভার্সন) শিক্ষার্থীবৃন্দের অভিভাবকদের সাথে আসন্ন ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা ও বিবিধ বিষয় নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ জনাব কর্নেল মো: সাদীকুল বারী স্যার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হলো অভিভাবক সভা। আলোচনা সভাটি অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সুসম্পন্ন হয়। কলেজের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে অভিভাবকগন সন্তোষ প্রকাশ করেন।
নবীনবরণ ২০২৩
“ফাগুনের নবীন আনন্দে গান খানি গাঁথিলাম ছন্দে; দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি, ভরি দিল বকুলের গন্ধে।”
নানা উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদযাপিত হলো ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ উৎসব। উৎসবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ জনাব শিবলী সাদিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এস.এ.এম রফিকুন্নবী,অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল, ডিরেক্টরেট অফ আইসিটি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যক্ষ, ডিআইআইটি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, অধ্যক্ষ ডিআইএস। আলোচনা সভার পর শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
Importance of ‘Co-curricular Activities’ to build up Self-confidence
In the 21st century, the world is changing fast. That is why, the conventional education
curriculum which was developed in the early 20th century, has to pave the way to a new kind of
education and learning which is related to our day to day living and plays a vital role to build up
career and personality. Co-curricular activities are different from academic activities. It is true
that much of our intellectual development happens, to a great extent, in the classroom but it is
not enough to survive in life. Students can participate in co-curricular activities besides their
academic activities. These activities give unique experience of life, these activities make one
smart and wise. These activities encourage to expose hidden talents. It helps to the students to
become aware of time management and more responsible. It helps the learners to be confident,
problem solving and reasoning. When these activities blended with academics, it will help the
students learn effectively. It will also give them an opportunity of thinking unusually and getting
the innovative ideas and above all to be self-dependent.
There are many co-curricular activities like- debate, recitation, singing songs, dancing, public
speaking, extempore speech, library work, social service etc. These are the activities through
which a learner can strengthen the classroom learning as well as other activities both inside and
outside the classroom.
The students who engage themselves in these co-curricular activities, can achieve better results
in their academic ground. Their academic performance develop day by day as they learn how to
balance their co-curricular activities with their academic pursuits. Moreover, they better
understand how to manage their time effectively and also increase their interest in the classroom.
So, it is essential to understand the importance of co-curricular activities in improving academic
performance. In other words, co-curricular activities enable a learner to digest his academic
studies and make him/her to be confident in every sphere of practical life. In this competitive
era, co-curricular activities also play a vital role to build up a better career for the learners.
Because it broadens new horizons for them. It makes the students feel happier, stronger,
confident and more likely to lead a healthy and active life style.
Now we are passing a very critical situation. In a normal situation, Pre Covid-19, all
extracurricular activities for the students took place in academic environment. Though it is not
possible in this current pandemic situation, students can involve themselves virtually in many
co-curricular activities. And it helps them to be fit mentally removing their mental stress. In this
connection, Virtual club activities can be implemented during the pandemic. Through Google
meet or Zoom, students can participate in interactive session where they can share their
experience and receive suggestion from the experts. Now at this moment, they can more involve
in many indoor activities like crafts, creative writings, gardening, graphic designs etc.
By the above discussion, we can say that the students engaging through co-curricular activities
can learn essential values about different religions, events, cultures of national and international
importance as well as discipline. They also learn to understand different values, social ethics,
motivational skills, capability of accepting challenges, self-dependent, self-contentment etc.
In order to make the new generation all-rounder and self-reliant, co-curricular activities should
be integrated in the educational sector compulsorily.
Writer: Sanchita Nargees
Sr.Lecturer, English
মহিষ কি কালো না ব্ল্যাক ডায়মন্ড!
মহিষ একটি অতি পরিচিত প্রাণী। সবাই কমবেশি তাকে চিনে, চেহারায় না চিনলেও কথায় কথায় সবাই মহিষের নাম বলে যেমন- কারও চেহারা কালো হলেই সবাি তাকে বলে তুই মহিষের মতো। যার ইংরেজি নাম- Bull বৈজ্ঞানিক নাম – Bos taurus এই প্রাণীটি পানিতে নামলে উঠতে চায় না, এবং আনন্দে মেতে ওঠে। দেখতে কালো হলেও আসলে এর গুন অনেক-
১. মহিষের দুধ অনেক উপকারী, মহিষের দুধে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যা হাড়ের
বিকাশের জন্য অধিক দরকারী এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝঁকি কমায়।
২. ক্যালসিয়াম হাড়ের বিল্ডিং ব্লক হিসাবে পরিচিত, নিয়মিত মাহিষের দুধ পান করলে এর থেকে
রেহাই পাওয়া যায়।
৩. মহিষের দুধে তামা, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস এবং জিঙ্কের মতো অন্যান্য খনিজ পদার্থও থাকে যা
হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
৪. মহিষের দুধে ঘুমকে প্ররোচিত করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই আপনি যদি রাতে ভালো ঘুম চান
এবং যাদের রাতে ঘুম আসে না, তার মহিষের দুধ খেলে এ অবস্থা থেকে রেহাই পাবেন।
৫. গরুর দুধের তুলনায় মহিষের দুধে প্রোটিন, চর্বি এবং ল্যাকটোজ বেশি থাকে।
৬. যাদের ওজন বেশি অর্থাৎ যাদের স্থুলতা রয়েছে তাদের জন্য মহিষের দুধ খুবই উপকারী, কারন
এতে ফ্যাটির চেয়ে বেশি ক্যালোরি রয়েছে।
৭. মহিষের দুধে পাওয়া যায় মহামূল্যবান ভিটামিন-D যা সচরাচর খুব একট খাবারে পাওয়া
যায় না। সাধারণত সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন-D প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। ভিটামিন-D হাড়,
নার্ভ, মাংসপেশিকে সচল রাখে।
মহিষের মাংসের উপকারিতা:
এটি লাল মাংস বা রেডমিট নামে পরিচিত।
১. গরুর মাংসের চেয়ে ১০% কোলেস্টোরলের পরিমান কম থাকে, তবে আমিষের পরিমান,
আয়রনের পরিমান, বি১২ বেশি থাকে, শিশুদের বৃদ্ধিতে এবং মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
২. ৭০% কোলেস্টরল কম, চর্বি কম, এলার্জি থাকে না, আয়রন বেশি থাকে যা মানুষের দেহে রক্ত
তৈরি ও রক্ত স্বল্পতা দূর করে, লো-প্রেসার দূর করে।
৩. এতে আয়রনের পরিমান বেশি থাকায় এটি গর্ভবতি মায়েদের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।
৪. মহিষের মাংস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কারণ এতে চর্বির পরিমান মাত্র ২ শতাংশ।
৫. যারা বাতব্যাথার ভয়ে গুরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, তারা নির্ভয়ে এটি খেতে পারেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিভাগসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, গুণগত মানের দিক থেকে গরুর মাংসের চেয়ে মহিষের মাংস অত্যন্ত স্ব্যাস্থ্য সম্মত।
পবিত্র কুরআনের সূরা ইয়াসিন আয়াত ৭২ ও ৭৩ নং আয়াতে, আল্লাহতাআলা বলেছেন, আমি চতুষ্পদী কতকগুলো প্রাণীকে মানুষের বশীভূত করে দিয়েছি, সেগুলো তারা বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে, মহিষ চতুষ্পদী প্রাণী, এটি দ্বারা আমরা গাড়িটানি এবং এর মাংস ও দুধ ভক্ষণ করি, এটি আমাদের জন্য পরিপূর্ণ হালাল একটি প্রাণী- সূরা আল নাহল।
যারা দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে মাংস বাদ দিয়ে দিয়েছেন তারা নির্দ্বিধায় মহিষের মাংস যোগ করতে পারেন।
আসলে প্রাণী জগতের প্রাণীদের মধ্যে মহিষ একটি ব্ল্যাক ডায়মন্ড।
Visiting Military Museum: An Outstanding Study Tour with DIC students
Visiting Military Museum: An Outstanding Study Tour with DIC students
Study tour, a break from routine classroom settings, injects enthusiasm and excitement
into the learning process. In fact, study tours can inspire students, reignite their passion for their
field of study, and motivate them to explore further. In order to fulfil this purpose, Daffodil
International College arranged a study tour at Bangabandhu Military Museum for its students’
holistic development.
On 27 May 2023, the students of class XI (session: 2022-23) along with their teachers
started for Bangabandhu Military Museum at 9.30 am. The museum is located at Bijoy Sarani,
Dhaka. It has a collection of Bangladesh’s military history, heritage, success stories and various
weapons and ammunition.
As the destination is not very far from college campus, we have decided to go on foot.
While crossing Manik Mia Avenue, the juvenile students had some snaps in front of the
Parliamentary Building. They were, really, excited and thrilled while marching towards the
destination. We reached the museum at 10.30 am and found that some of my fellow students had
already arrived at their most cherished destination.
After finishing the counting of the students, they entered the museum in a queue
maintaining discipline and rules of the institution. While exploring the museum, they observed
our heritage, success stories of our ancestors, wide implementation of Augmented Reality,
Interactive Displays, Virtual Reality, Holograms etc.
The museum is divided into six sections, including the Bangladesh History Gallery on the
ground floor, Bangladesh Army Gallery on the 2nd floor, Bangladesh Air Force gallery on the
3rd floor, UN Peacekeeping Gallery on the 4th floor, and Bangladesh Navy Gallery at the
basement.
There is also a separate museum named “Toshakhana Jadughor” within the museum
complex, where gifts and awards received by the country’s important personnel have been
showcased. A grand sculpture of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman has been placed in the
middle of the “Toshakhana Jadughor”.
Our students got amazed looking at the awesome architectural design and infrastructure
inside the museum. The study tour came to an end almost at 1.00 pm. At the end of the tour, they
experienced a heavy rainfall poured down the city which made the day more memorable for
them. Due to excessive rainfall, we had to wait some more time at the museum. This study tour
and the rainfall made the students refreshed by removing the monotony of academics.
Overall, it was an unforgettable outing of the teachers and the students which will remain
forever in the memory and keep us invigorated again and again.
Finally, I would like to say that this kind of study tour offers unique opportunities for
students to learn, grow, and develop both academically and personally. Moreover, it provides
practical experiences through gaining knowledge and foster various skills that are essential to
achieve success in the academic and professional spheres.
সাফল্য ও অর্জনের ১৯ বছরে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ
বিশ্বায়নের এ যুগে জানা ও এগিয়ে যাওয়ার শর্তে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ গুণগত মানসম্মত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দেশে ও বিদেশে মানসম্মত এবং মানব সম্পদ সৃষ্টিশীল শিক্ষার রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তাছাড়া আগামীর সভ্যতায় আমরা সম্মানের সাথে বাঁচতে চাই। আমাদের বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে সর্বাধুনিক তথ্য-প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দায়িত্বশীল ও সচেতন দেশপ্রেমিক সুনাগরিক এবং এক একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান শিক্ষা উদ্যোক্তা জনাব ড. মো: সবুর খান রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র লালমাটিয়ায় ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ।
কলেজের ভিশন শিক্ষার গুণগত ও সংখ্যাগত মানোন্নয়ন এবং আলোকিত মানুষ বিনির্মাণ। মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে প্রিয় বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। এ এক অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ সত্যিকার অর্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সুযোগ্য পরিচালনা পর্ষদের দিক নির্দেশনায় এবং অধ্যক্ষের নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কলেজের সুশিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ।
কলেজের রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল নিজস্ব ভবন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুপরিসর শ্রেণিকক্ষসমূহ, সমৃদ্ধ বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরি এবং আইসিটি ল্যাব যা সার্বক্ষনিক সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের আওতাভূক্ত। এখানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় বাংলা মাধ্যম ও ইংলিশ ভার্সনে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। নিয়মিত সাপ্তাহিক পরীক্ষা, মাসিক পরীক্ষা এবং অন্যান্য মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা। দুর্বল ও অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের অগ্রহী ও চৌকষ হিসেবে গড়ে জন্য তোলার রয়েছে আপ্রাণ প্রচেষ্টা। সপ্তাহের শেষ দিনে রয়েছে সপ্তাহব্যাপী পাঠদান কার্যক্রমের মূল্যায়ন। নিয়মিত গাইড শিক্ষকের তত্ত্বাবধান। আইসিটি বিষয়ে রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব এবং আবশ্যিকভাবে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে পৃথক পৃথক শাখার ব্যবস্থা। এ+ প্রাপ্ত, অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে নানারকম বৃত্তির ব্যবস্থা। রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক বিভাগ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইংরেজি, বিবিএ, সিএসই, ফিন্যান্স ও মার্কেটিং বিষয়সমূহে অনার্স কোর্স চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বোর্ড পরীক্ষায় কলেজের পাসের হার জিপিএ-৫সহ শতভাগ। কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের স্বনামধন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। অনেক শিক্ষার্থী বিদেশেও উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছে। অনেকেই শিক্ষাগ্রহণ শেষে দেশ-বিদেশে দারণভাবে প্রতিষ্ঠিত। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের বিষয়। কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সংগঠন (এলামনাই এসোসিযেশন) রয়েছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এই ত্রিমাত্রিক প্রয়াসের সমন্বয়ে করোনা অতিমারির শুরু থেকেই শ্রেণি কার্যক্রমসহ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে ড্যাফোডিল গ্রুপের নিজস্ব প্লাটফর্ম Smart Edu (EMS, elearning, Smart Board, Event, Dashboard) এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজগুলোর প্রতি প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে যথাযথ অনুশীলনের আওতায় আনা হয় এবং কুইজ, হ্যান্ডনোট, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি আদান-প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিকতায় প্রতিটি ক্লাস হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। জাতীয় দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় নিয়মিত। অনুষ্ঠিত হয় নানা প্রকার সরাসরি ও অনলাইনভিত্তিক সৃজনশীল প্রতিযোগিতা।
শিক্ষাকে পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর করা লক্ষ্যে কলেজে বিভিন্ন ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি যেমন: বাংলা ও ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আয়োজন করা হয় নিয়মিত। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করার লক্ষ্যে জাতীয় দিবসগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে শিক্ষার্থীরা স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবার, প্রতিষ্ঠান, দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সুযোগ পায়। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেশে ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষার উপযোগী করে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ ৩/৩ ব্লক-এ, লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭ ফোন: ৪৮১১৩৭৯৩, ০১৭১৩৪৯৩২২৭, ০১৭১৩৪৯৩২৪০ ওয়েব : www.dic.edu.bd ই-মেইল : info@dic.edu.bd
নিরাপদ খাদ্য ও সাম্প্রতিক সময়
নিরাপদ খাদ্য ও সাম্প্রতিক সময়
ঈশ্বর গুপ্তের বাণী- ‘ ভাত মাছ খেয়ে বাঁচে বাঙালি সকল।’ কিন্ত ভাত মাছ খেয়ে বেঁচে থাকার প্রয়াস বর্তমানে কঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা আজকাল অসাধু ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ফায়দা লুটতে ইউরিয়া, ফরমালিন, কার্বাইড সহ বিভিন্ন কেমিক্যাল পদার্থ খাদ্যদ্রব্যে মিশিয়ে তা বিষে পরিণত করে ফেলছে।
হাট বাজার ঘুরেও কেমিক্যাল মুক্ত মাছ পাওয়া যায় না কোথাও। আগে পাইকারি আড়ৎ গুলিতে প্রকাশ্যে মাছের স্তুপে ফরমালিন বা কেমিক্যাল যুক্ত পানি স্প্রে করা হতো কিন্তু প্রশাসনের নজরদারিতে তা এখন কমে গেলেও অভিনব উপায়ে মাছে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। যেমন- বড় মাছ তাজা অবস্থায় ফরমালিন ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করা, ছোট মাছ ফরমালিন মিশ্রিত পানির ড্রামে চুবিয়ে তুলে ফেলা, ফরমালিন মিশ্রিত বরফ যা দেখতে হালকা বাদামি রঙের তা দিয়ে মাছকে চাপা দিয়ে রাখা ইত্যাদি।
বেকারীর কারখানায় খাবার সতেজ ও আকর্ষণীয় করার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যাডেটিভ পদার্থ, টেক্সটাইল রং সহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারে খাবার বিষাক্ত হয়ে পড়ে।
বাজারে এখন বিভিন্ন ফলের সমাহার যেমন:আম,জাম,কলা, পেঁপে পেয়ারা থেকে শুরু করে আপেল আঙ্গুর নাশপাতিসহ দেশী ও বিদেশী সব ফলই চোখে পড়ে। কিন্তু এই সব ফলই বিষে ভরা। অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য ফল গাছে অপরিপক্ক থাকা অবস্থায় ইথিলিন ও ইথরিল হরমোন অতিমাত্রায় স্প্রে করা হয় এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফল পাকাতে ব্যবহার করা হয়। যারকারণে ফলগুলো রীতিমত বিষে পরিণত হয়।তবে কেমিক্যাল ব্যবহার করে পাকানো ফলের সব অংশে সমান রং হবে এবং ফলের ভিতরের চামড়ার অংশে একটু তিতা হবে। এছাড়া ফলের এক অংশে টক অন্য অংশে মিষ্টি লাগবে।
আজকাল মুড়িতেও ইউরিয়া,হাইড্রোজ ব্যবহার করে লম্বা, সাদা ও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে।এসব মুড়ির গায়ে অসংখ্য ছিদ্র থাকে, দেখতে খুব সাদা কিন্তু স্বাদ পানসে হয়ে যায়।
এসব ভেজাল- বিষাক্ত খাদ্য খেয়ে ক্যান্সার, কিডনি – লিভার বিকল হয়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের ‘বিষাক্ত খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি’ শীর্ষক সেমিনারে বলা হয়, শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে, ডায়াবেটিস রোগে ১ লাখ ৫০হাজার, কিডনি রোগে ২ লাখ লোক আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া গর্ভবতী মায়ের শারীরিক জটিলতা সহ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। সুতরাং এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি গণ সচেতনতা ও দরকার।
আমরা কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে খাদ্যদ্রব্যকে কেমিক্যাল মুক্ত করতে পারি।যেমন – মাছ ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই ফরমালিন মুক্ত করা যায়।মাছ কিনে এনে খুব ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে এর পর প্রায় এক ঘণ্টা তাকে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানির প্রভাবে মাছের শরীরের ফরমালিন কিছুটা বেরিয়ে যায়।এর পর লবণ পানি তৈরি করে তাতে কিছুক্ষণের জন্য ভিজিয়ে রাখুন মাছ। লবণ মাছের শরীরের ক্ষতিকর রাসায়নিককে সহজেই বের করে আনে।
এছাড়া প্রথমেই চাল ধোয়া পানি দিয়ে ধুয়ে নিন মাছ। তার পর সাধারণ পানি দিয়ে ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এতে সহজেই ফরমালিন সরে যাবে।
ফল ও সবজিকে ফরমালিনমুক্ত করার সব চাইতে ভালো পদ্ধতি হলো- ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে (পানিতে ১০% আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখা। এতে প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
এছাড়া ফলমূল খাবার আগে সেটি হালকা গরম এবং লবণ মিশ্রিত পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে ফরমালিনের পরিমাণ প্রায় ৯৮ শতাংশ দূর হবে।
আশা করি এসব ঘরোয়া টিপস অনুসরণ করলে আমাদের কিছুটা উপকার হবে। পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের নজরদারি আরও কঠোর ও বিস্তৃত করতে হবে।
তথ্য সূত্র: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন ও দৈনিক যুগান্তর
নাসরীন সুলতানা
প্রভাষক (রসায়ন বিভাগ)
আদর্শ শিক্ষক- আলোর পথের দিশারী
আদর্শ শিক্ষক- আলোর পথের দিশারী
একজন আদর্শ শিক্ষক সঠিক পথের দিশারী, পথ পরিদর্শক এবং আলোর পথের পথ প্রদর্শক। তাঁর দূরদর্শীতা, আকর্ষণীয় সুন্দর ব্যক্তিত্ব, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, মূল্যবোধ, চৌকষ ও কৌশলী ভূমিকা শিক্ষার্থীর শিখন প্রক্রিয়ায়, জ্ঞান অন্বেষণে, মেধার বিকাশ ও উন্নয়নে, চরিত্র গঠনে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
একজন নীতিবান ও বিবেকবান আদর্শ শিক্ষকের ছোঁয়ায় যেমনটি শিক্ষার্থীর মানসম্মত সুশিক্ষা সুনিশ্চিত হয় তেমনি শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলী, মানসিক উৎকর্ষ সাধন এবং মননের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
আদর্শ শিক্ষকের কথা ও কাজের মধ্যে থাকে এক অপূর্ব মেলবন্ধন সমীকরণ। তাঁর আচার-ব্যবহার শিক্ষার্থীদের আদর্শবোধে উজ্জীবিত ও উদ্বুদ্ধ করে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাহস সঞ্চার হয় এবং শিক্ষার্থীরা চরম ও পরমভাবে অনুপ্রাণিত হয়। সর্বোপরি, আদর্শ শিক্ষকের সীমাহীন উৎসাহ পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সব ভয়কে জয় করে সাফল্যের চূড়ায় উঠতে পারে এবং নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আদর্শ শিক্ষকের মৌলিক মানবীয় গুণাবলী, অনুপম চারিত্রিক মাধুর্য, বুদ্ধিদীপ্ত উচ্চ নৈতিকতাসম্পন্ন জ্ঞান, সহযোগিতার মনোভাব, কর্তব্যনিষ্ঠা ও চিত্তাকর্ষক ব্যক্তিত্ব শিক্ষার্থীর মনে দাগ কাটে। যার ফলে শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকের আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়। ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যকার এই সম্পর্ক এক অনাবিল, আদর্শিক ও যুগপৎ সম্পর্ক।
যেখানে মৌলিক কোন চাওয়া-পাওয়ার বিষয় সংযুক্ত থাকেনা, থাকে পরস্পরের প্রতি এক অকৃত্রিম ভালোবাসা ও অবিরাম শুভকামনা।
পরিশেষে, সকল আদর্শ শিক্ষকমন্ডলীর প্রতি রইল সশ্রদ্ধ সালাম, বিনম্র শ্রদ্ধা ও নিরন্তর ভালোবাসা।
ধন্যবাদান্তে
রাকিব মজুমদার
সিনিয়র প্রভাষক,
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, ঢাকা।