From now onwards, online Bkash payment is available on EIMS. Guardians and students can be able to pay the tuition fees by using the following procedure.
Online Class Routine
DIC is going to conduct online class through #Google_Hangouts_Meet for 1st & 2nd Year students. The online class routine is Here
2nd Year-2019 Test-Exam Date Changed
2nd Year-2019 Test exam date has changed. To view Click_Here.
Test & Half-yearly Exam-2019
Test & Half-yearly Exam-2019. Click_here
Akhari Chahar Somba Vacation on 22-10-2019
Akhari Chahar Somba Vacation on 22-10-2019. Notice is here
Puja Vacation October 2019
Puja vacation in October 2019. Please see the Notice
2nd Year Pre-Test Exam Routine_2019-2020
2nd Year Pre-Test Exam Routine_2019-2020. Click_Here to Download
1st Year First Monthly Test (Half-yearly) Routine_2019-2020
1st Year First Monthly Test (Half-yearly) Routine_2019-2020. Click_Here to Download
পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ পালনের ইতিকথা
বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উপলক্ষ্যে এর প্রেক্ষিত সম্পর্কে সুহৃদ পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রারম্ভেই বলে রাখি, বাঙালি উৎসব ও আনন্দপ্রিয় জাতি।পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নানা উপলক্ষ্যে তারা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। সেসবের মধ্যে ব্যতিক্রমী হয়ে আবিভর্‚ত হয় বাংলা নববর্ষ যার স্বাদ, গন্ধ ও আবেদন অন্যান্য উৎসব হতে একেবারেই আলাদা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে সব মানুষ, সব বাঙালি সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে সমগ্রজাতি একই হৃদয়াবেগে একটি মোহনায় মিলিত হয়ে পালন করে এই সর্বজনীন উৎসব। চিরায়ত বাঙালিত্বের অহংকার আর সংস্কৃতির উদার আহবানে জাগরক হয়ে নাচে-গানে, গল্পে-আড্ডায়, আহারে-বিহারে চলে নতুন বছরকে বরণ করার পালা। বাংলা নববর্ষ তাই বাঙালিদের জীবনে সবচেয়ে বড় সর্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক উৎসব। এর মাধ্যমে জাতি তার স্বকীয়তা ও জাতীয়তাবাদী চেতনার শক্তি সঞ্চয় করে; সচেষ্ট হয় আত্মপরিচয় ও শিকড়ের সন্ধানে। এরূপ নববর্ষই বাঙালি জাতিকে ইস্পাত-কঠিন ঐক্যে আবদ্ধ করেছিল, শক্তি ও সাহসের সঞ্চার করে স্বাধীকার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জুগিয়েছিল। কবিগুরুর ভাষায়-
‘‘নব আনন্দে জাগো আজি নব রবির কিরণে
শুভ সুন্দর প্রীতি উজ্জ্বল নির্মল জীবনে।
অমৃত পুষ্প গন্ধ বহ শান্তি পবনে
দেহে মনে নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগে।”
নববর্ষ বিদায়ী বছরের গ্লানি মুছে দিয়ে বাঙালি জীবনে ওড়ায় নতুনের কেতন, চেতনায় বাজায় মহামিলনের সুর। সব ভেদাভেদ ভুলে সব বাঙালিকে দাঁড় করায় এক সম্প্রীতির মোহনায়। নববর্ষের আগমনী ধ্বনি শুনলেই সমগ্রজাতি নতুনের আহবানে জেগে ওঠে। গ্রামের জীর্ন-কুটির হতে বিলাস বহুল ভবন কিংবা দূর প্রবাসের মেগাসিটি- সর্বত্রই প্রবাহিত হয় আনন্দের ফল্গুধারা।
আবহমান বাংলার চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনার মূলে রয়েছে এক অসাধারণ অনুষঙ্গ সেটি হল বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ। ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতায় বাংলা বর্ষবিদায় ও বরণের অনুষ্ঠানমালা তাই আমাদের সেই ঐতিহাসিক চেতনাকে প্রোজ্জ্বল করে। স্বদেস মানস রচনায় বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য সর্বোপরী ইতিহাসের আলোকে রক্ষণশীল ও পশ্চাৎপদ চিন্তা-চেতনাকে পরিহার করে আধুনিক ও প্রাগ্রসর অভিধায় জাতিসত্বাকে যথাযথ প্রতিভাত করার সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি বাংলা নববর্ষকে দান করেছে অনবদ্য মাঙ্গলিক যাত্রাপথ। তবে বাঙালির নববর্ষ সব বাঙালির কাছে একভাবে আসেনি। কারো কছে এসেছে খরা হয়ে, কারো কাছে খাজনা দেওয়ার সময় হিসেবে, কারো কাছে বকেয়া আদায়ের হালখাতা হিসেবে, কারো কাছে মহাজনের সুদরূপে আবার কারো কাছে এসেছে উৎসব হিসেবে।
উল্লেখ্য যে, হিজরি সনকে উপেক্ষা নয় বরং হিজরি ৯৬৩ সালকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে শুধুফসল তোলার সময়কে সৌরবর্ষের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণকরার লক্ষ্যে সূর্যকে মানদণ্ড হিসেবে ধরে সৌরবর্ষ অথবা ফসলি বর্ষ হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্রাট আকবরের শাসনকালে সৌরবর্ষ (বঙ্গাব্দ) ও চান্দ্রবর্ষকে (হিজরি) একক মাত্রায় নির্ধারণে সম্রাট আকবরের রাজজ্যোতিষী আমীর ফতে উল্লাহ সিরাজীর সু² হিসাব-নিকাশ বিবেচনায় শুভক্ষণ গণনার দিন হিসেবে পহেলা বৈশাখকে নববর্ষ উদ্যাপনের
দিন ধার্য করা হয়।
বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি জানতে হলে আমাদের নিতে হবে ইতিহাসের আশ্রয়। ভারতত্ববিদ আল বিরুনী কিতাব’ উল হিন্দ’-এ (রচনাকাল আনুমানিক ১৩৩০ খ্রি:) ভারতবর্ষের যে সব অব্দের (শ্রীহর্ষাব্দ, বিক্রমাব্দ শকাব্দ, বলভাব্দ ও গুপ্তাব্দ) নাম উল্লেখ করেছেন তাতে বঙ্গাব্দ নেই। বঙ্গাব্দ চালু হয় এর অনেক পরে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে। সম্রাট আকবরের রাজজ্যোতিষী আমীর ফতে উল্লাহ সিরাজীর প্রচেষ্টায় এই নতুন অব্দের প্রচলন হয়। আকবরের সিংহাসনে আরোহনের ২৫ দিন পর অর্থাৎ বুধবার ২৮ রবিউস সানি (১১ মার্চ) তারিখে ভুবন আলোককারী নতুন বর্ষের সূচনা হয়েছিল। এই দিনটি ছিল
পারসিক বছরের নওরোজ। আবার সৌরবর্ষের চেয়ে চান্দ্রবর্ষ ১০/১২ দিন কম হবার ফলে কৃষকদের কৃষিকাজ সংক্রান্ত কাজে দিনক্ষণের সঠিক হিসাব রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যার সমাধানে মোঘল সম্রাট আকবরের নির্দেশে আবুল ফজল ১৫৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ফসলি সনের প্রবর্তন করেন যা বর্তমানে বাংলা সন হিসেবে প্রচলিত।
এতে ৯৬৩ হিজরী সনের মহররম মাসের ১ তারিখ থেকে বৈশাখী সনের প্রথম দিন গণনা শুরু হয়। অর্থাৎ হিজরি ৯৬৩ সনের ১লা মহররম এবং ১লা বৈশাখ ৯৬৩ একই দিন ছিল। অর্থাাৎ হিজরি ৯৬৩ সনের সাথেই বঙ্গাব্দ যুক্ত হতে থাকে। আর চান্দ্রমাসভিত্তিক হিজরি সন ১২/১২ দিন হওয়ায় হিজরি সনের তুলনায় বিগত কয়েকশত বছরে বঙ্গাব্দ বেশ কম। ঐতিহাসিকগণ মনে করেন, বাংলা সন চালুর ভিত্তি হলো হিজরি সন। হিজরি সনের বর্তমান বয়স ১৪৪২ বছর। বাংলা সনও হিজরি সনের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ১৪ বছর। এই পার্থক্যের কারন হলো আরবি মাস কখানো ২৯ দিনে হয়ে থাকে।
এই পরিবর্তনের পরও প্রতি চার বছর অন্তর একদিন লিপইয়ার-এর হেরফের থেকে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বহু ভাষাবিদ, গবেষক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে প্রধান করে পাকিস্তান আমলে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সাল হতে বাংলাদেশে প্রচলিত নতুন ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয়। এতে প্রতি ইংরেজি লিপইয়ার বর্ষের বাংলা ফাল্গুন মাসে একদিন যোগ করে সমস্যাটির বিজ্ঞানসম্মত সমাধান করা হয়।
ধারণা করা হয়, মোঘল সম্রাট আকবর পহেলা বৈশাখ থেকে অর্থবছর গণনার প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন মূলত, রাজস্ব আহরণ তথা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। পূর্বে চান্দ্রমাসের ভিত্তিতে প্রচলিত হিজরী সন এবং সৌরবর্ষ গণনার পদ্ধতি প্রক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয় ও সাযুজ্য সাধনের তাৎপর্য ও যৌক্তিকতাকে বিচার-বিশ্লেষণের ভার তিনি তাঁর নবরত্ন সভার সবচেয়ে বিজ্ঞ ও বিচক্ষণ সদস্য মশহুর ইতিহাসবেত্তা আবুল ফজল (১৫৫১ – ১৬০২) এবং অর্থ ও রাজস্ব বিষরক সদস্য রাজা টোডরমলকে অর্পণ করেছিলেন। তাঁদের নির্দেশনায় আকবরের রাজজ্যোতিষী ফতে উল্লাহ সিরাজী যে সমন্বিত প্রস্তাব প্রণয়ন করেন, তার ভিত্তিতে ফসলি সন নামে নতুন বর্ষ গণনার রীতি প্রবর্তিত হয় ৫৯৪ হিজরী সনের জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মোতাবেক ১৪ এপ্রিল সোমবার। প্রবর্তনের খ্রিষ্টীয় সন ১৫৮৪ হলেও ফসলি সনের প্রবর্তক সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের সন ১৫৫৬ থেকেই এর ভ‚তাপেক্ষ কার্যকারিতা প্রদান করা হয়। প্রজাদের উৎপাদিত ফসলের উপর কর বা রাজস্ব আরোপ এবং তা যথাসময়ে যথামৌসুমে সংগ্রহের সুবিধার্থেই মূলত: ফসলি সনের প্রবর্তন করা হয়।
১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতের শাসনক্ষমতা কোম্পানীর হাত থেকে খোদ ব্রিটিশ সরকারের হাতে চলে যায়। ওয়েস্ট মিনিস্টার পদ্ধতিতে পরিচালিত ভারতে ব্রিটিশ সরকারের প্রথম বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে আইনসভায় পেশ করা হয় ৭ এপ্রিল ১৮৬০ সালে। অর্থবছরের ধারণাটি বাংলা সন অনুযায়ী রাখার পক্ষপাতি ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম অর্থমন্ত্রী জেমস উইলসন (১৮০৫ – ১৮৬০)। স্বনামধন্য ইকোনোমিস্ট পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, অভ্যন্তরীণ
রাজস্ব বিভাগের সচিব, অর্থ সচিব, ব্রিটিশ আইনসভার প্রভাবশালী সদস্য, ফ্রি ট্রেড আন্দোলনকর্মী, পেপার কারেন্সি প্রবর্তনের প্রবক্তা ছিলেন জেমস উইলসন। ভারতে ভাইসরয়দের কাউন্সিলে অর্থ-সদস্য (মন্ত্রী সমতুল্য) হিসেবে নিযুক্তি পেয়ে কলকাতায় যোগদান করেন ১৮৫৯ সালের ২৯ নভেম্বর।
ইতিহাস সচেতন বিচক্ষণ অর্থনীতিবিদ উইলসন ভারতের আর্থ-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিয়ে ৭ এপ্রিল ১৮৬০ উপস্থাপিত ভারত সরকারের প্রথম বাজেট বক্তৃতা তেই ভারতে আধুনিক আয়কর পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন। প্রাচীন ভারতের মনুসংহিতা থেকে রাজস্ব আদায়ের সূত্র উল্লেখ করলেও তিনি মূলত ব্রিটেনের আয়কর আইনের কাঠামোয় এদেশে আয়কর আরোপের রূপরেখা দেন। এপ্রিল মাস থেকে তাঁর দেয়া বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হয়ে যায়যার সাথে স¤্রাট আকবরের প্রবর্তিত বাংলা সনের যৌক্তিক সাদৃশ্য উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয়, ভারতে ব্রিটিশ সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী, ভারতে আধুনিক আয়কর পদ্ধতি প্রবর্তনের মাত্র তিন মাসের মাথায় ডিসেন্ট্রিতে ভুগে ১১ আগস্ট ১৮৬০ সনে কলকাতাতেই মারা যান। পরবর্তী ৪ বছর বাজেট উপস্থাপন করা হয় যথাক্রমে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। ১৮৬৫ সাল থেকে স্থায়ীভাবে আট বছর ১৩ এপ্রিল থেকে শুরুর বিধানটা কার্যকর হয়।
সম্রাট আকবর বাংলা নববর্ষ প্রচলন করলেও নববর্ষ পালনের ইতিহাস বহু পুরনো। সর্ব প্রথম নববর্ষ পালিত হয় মেসোপটেমিরায় ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ চালু হয় জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে। রাশিয়া, চীন, ইরান ও স্পেনে নববর্ষ পালিত হতো ঘটা করে। মুসলিম শাসকদের হাত ধরে ইরানের নওরোজ ভারতবর্ষে আসে। মোঘল আমলে খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে নওরোজ উৎসব পালন করা হতো। এই নওরোজ উৎসবেই জাহাঙ্গীরের সঙ্গে নূরজাহানের প্রথম মন দেয়া-নেয়া হয়েছিল। তবে বাংলা নববর্ষ যেভাবেই আসুক না কেন এখন তা বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। তাই পহেলা বৈশাখ এলেই সব বাঙালির
প্রাণ বাংলা নববর্ষ বরণের আনন্দে আপনা আপনিই নেচে ওঠে। পহেলা বৈশাখ তাই পালিত হয় ব্যক্তিগত, ধর্মীয়, সাম্প্রদায়িক, শ্রেণিগত অবস্থানের উর্ধ্বে উঠে ‘মানুষ মানুষের জন্য- এই বিশ্বাসকে সমাজ জীবনের সর্বত্র-ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন প্রমুখের অক্লান্তপ্রচেষ্টায় পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী ও তাদের দাললদের রক্তচক্ষুউপেক্ষা করে রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ পালনের সময় থেকে ছায়ানট প্রবর্তনায় রমনার বটমূলে যে পহেলা বৈশাখ শুরু হলো-তা আজ গ্রাম-বাংলার সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষের কাছে অন্যান্য ধর্মীয় ও জাতীয় দিবসগুলোর চেয়ে পহেলা বৈশাখ কম গুরুত্বপুর্ণ নয়।
তবে সামাজিক উৎসব হিসেবে নববর্ষ পালন শুরু হয় ঊনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। পঞ্চাশের দশকে লেখক-শিল্পী-মজলিস ও পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ নববর্ষ উপলক্ষ্যে ঘরোয়াভাবে আবৃতি, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও সাহিত্য সভার আয়োজন করত। সনজীদা খাতুনসহ অন্যান্যদের উদ্যোগে ছায়ানটের আয়োজনে কবিগুরুর ‘‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’’ গানটি দিয়ে বাংলা বছরের প্রথম দিন সকালে নববর্ষের আবাহন শুরু হয় রমনা অসশথ তলায় ১৯৬৫ সালে।
পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদী চেতনার পালে যতই হাওয়া লেগেছে ততই উৎসবমূখর হয়েছে নববর্ষের আয়োজন। পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধকরণসহ সাংস্কৃতিক নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করার পরও নববর্ষে লাগে নিত্য নতুন উদ্দীপনা। দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকার পহেলা বৈশাখকে জাতীয় পার্বণ হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর ছায়ানট ছাড়াও রাজধানীতে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলা একাডেমি, চারুকলা ইনস্টিটিউট, শিল্পকলা একাডেমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, নজরুল ইনন্সিটিউট, জাতীয় জাদুঘর, বুলবুল ললিতকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বাংলা নববর্ষকে মহাউৎসবে পরিনত করেছে। বর্তমানে পল্লীর নিভৃত কুটির হতে শুরু করে গ্রামগঞ্জ, জেলা শহর, বিভাগীয় শহর ও রাজধানী শহরের সর্বত্র উছলে পড়ে বাংলা নববর্ষ পালনের আনন্দ। বর্তমান সরকার নববর্ষ ভাতা চালু করে এ উৎসবে আরো প্রাণ সঞ্চার করে।
বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য হলো বাংলা বর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। আর বাঙালিদের কাছে বাংলা নববর্ষ বরণ হলো একটি প্রাণের উৎসব। বাংলা নববর্ষের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেস্কো আমাদের পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক মুল্যবেধের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ^সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করে নববর্ষ বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা ও সাংস্কৃতিক সৌধের ভিত আরো সুদৃঢ় করুক, নববর্ষের উদার আলোয় ও মঙ্গলবার্তায়
জাতির ভাগ্যাকাশের সব অন্ধকার দূরীভ‚ত হোক, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গীবাদী অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটুক, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াক, এটাই হোক বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ এর প্রত্যয়।
শিবলী সাদিক
অধ্যক্ষ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ
ধানমন্ডি, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১৪০৪১৫০২, ০১৭১৩৪৯৩০৫২
ইমেইল: shiblyshadik15@gmail.com
Online Class During Corona Pandemic
DIC conducting Online Class During Corona Pandemic. And this news is Published in Daily Samakal. To see the news Click Here