ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের ২০১৭ – ২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ জাওয়াদ ইসলাম জয় জানালো প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা।
২০১৯ সাল, সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে। সবার মতই আমার ও আশা কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই শুরু করে দিলাম কোচিং। যদিও প্রথম প্রথম আমার ভিতরে অনেক ভয় কাজ করত। আমি মোটামুটি কনফিডেন্ট ছিলাম কোথাও চান্স পাব না। যেহেতু ছোটকাল থেকে ছবি আঁকার প্রতি একটা নেশা ছিল তাই পরীক্ষা দিলাম প্রথমেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চ’ ইউনিটে। ফলাফল পেয়ে খুশি তো হয়েছিই, অবাকও কম হইনি। বাবা-মা, ভাই-বোন ও বন্ধু সবার ইচ্ছায় ভর্তি হয়ে গেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদের “মৃৎশিল্প” বিভাগে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর অনেক কিছুই বদলে গেছে। যেটাকে আমি “positive change” হিসেবেই বিবেচনা করি। কলেজ জীবনে শিক্ষকদের কাছ থেকে আমার যা কিছু অর্জন তার সবটুকু ঢেলে দিয়েছি চারুকলা প্রাঙ্গণে। সামাজিকতা, মানুষের সাথে আচার – আচরণ যা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে । প্রাচ্যের এই অক্সফোর্ডে পড়ালেখা করেছেন দেশের বহু জ্ঞানি ও গুণীজন। হাজারো জ্ঞানের সমাহার এখানে যা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠার পর অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি এবং এখনো করছি, কারন জ্ঞান অর্জনের কোন শেষ নেই। চারুকলায় পড়ার ফলে ছবি আঁকার অনেক প্লাটফর্মের সম্পর্কে জেনেছি, এবং আমার ছবি আঁকার মান উন্নত করতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষকরা মন দিয়ে শেখান। বড় ভাই ও আপুরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সহায়তা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ফলে বিভিন্ন সুযোগ পাচ্ছি। করোনা মহামারীর কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না থাকলে বিভাগীয় বার্ষিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করতে পারতাম। তবে লকডাউনে অনলাইন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করেছি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছি। হয়ত মহামারী না থাকলে আরো অনেক সুযোগ পেতাম। যাইহোক গত ২ বছর আগের আমি-র সাথে আজকের আমি অনেক পার্থক্য রয়েছে। ভবিষ্যতে ইন-শা-আল্লাহ আরো ভালো কিছু করবো। জীবনে এতদূর আশার পেছনে আমাকে সাহায্য করেছে আমার বাবা-মা-বোন, স্কুল ও কলেজের সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা, এবং আমার কয়েকজন বন্ধু। জাওয়াদ ইসলাম জয়ের পরিবারের জন্য ড্যাফোডিল পরিবারের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।