সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও কুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বপ্ন পূরণের পথে
আমি কাজি রাফাকাত হোসেন, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের একজন নিয়মিত ছাত্র ।
আমার ছোটবেলা কেটেছে খুলনায়, ছোটবেলায় বাবা মা প্রায়ই খেলনা গাড়ি কিনে দিতেন। তখন থেকেই খেলনা গাড়ির প্রতি আমার ইন্টারেস্ট তৈরি হয়। যখন একটু বড় হয়েছি তখন থেকেই আমার খেলনা গাড়ি বা অন্য যেকোন খেলনা খুলে দেখতাম ভিতরে কি আছে। অথবা কোন কিছু নষ্ট হলেই খুলতাম দেখার জন্য। এ জন্য মাঝে মাঝে মার বকুনি খেয়েছি। মা আমার এসব দেখে তখন থেকেই বুঝতে পেরেছিল আমি প্রকৌশলী হতে পারব।
আমি বরাবরই বিজ্ঞান বিষয়ে ভাল ছিলাম কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে দূর্বল ছিলাম। ফলে যা হবার তাই হল, জে এস সি এবং এস এস সি তে আশানুরূপ ফলাফল পেলাম না। রেজাল্ট দেখে বাবা-মা হতাশ যদিও তারা আমাকে কোন কিছুই বলেননি। তখন আমার অবস্থা….. আর নাই বললাম । এর মধ্যেই কলেজে ভর্তির সময় চলে এলো। কয়েকটা কলেজ ঘুরে অবশেষে ভর্তি হলাম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজে। কিন্তু আমি যখন কলেজে ভর্তি হই তখন চিন্তা করলাম ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে আমাকে Science এর subject গুলোতে ভালো করতেই হবে। এ ব্যাপারে কলেজ নির্বাচন করাটা আমার জন্য Positive ছিল। আমাদের কলেজের যে কজন শিক্ষক ছিলেন তারা প্রত্যেকেই আমাদেরকে আলাদাভাবে Take care করেছেন। যার জন্য এইচএসসির রেজাল্ট তুলনামূলক ভাল করতে পেরেছিলাম। বিষয়গুলো কঠিন হলেও শিক্ষকরা আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। আজকে আমার এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজকে দিতে চাই।
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আমি কোনো কমতি রাখি নি, প্রতিদিন নিয়ম করে ভোর বেলা উঠে পড়তে বসা, ভর্তি কোচিং এর প্রতিটা ক্লাস মনোযোগ দিয়ে করা (একটা ক্লাস ও মিস করিনি) , পড়া গুলো বাসায় এসে আবার রিভিউ করা, প্রতিটা বইয়ের প্রতিটা চ্যাপ্টার খুব ভালো ভাবে পড়া থেকে শুরু করে শিক্ষকদের সব নির্দেশনা ফলো করে সব কিছু করেছি ।আমি ভর্তি পরীক্ষায় CUET, SUST, MIST, DU ও KUET বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিলাম তবে, পছন্দের বিষয়, ভার্সিটির পরিবেশ, ভবিষ্যতে আমার প্ল্যান সবদিক বিবেচনা করে ভর্তি হলাম খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জন্য আমি আমার কলেজ ও আমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।